নিখোঁজ হামীম গ্রুপের জিএমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
দুদিন নিখোঁজ থাকার পর রাজধানীর তুরাগের দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে হামীম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহর (৪৮) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের পাশের রাস্তা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আহসান উল্লাহ তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত মজিদ আহমেদের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় হামীম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে জিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাহাৎ খান জানান, গত রোববার (২৩ মার্চ) বিকেল থেকে আহসান উল্লাহ নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে দিয়াবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে আহসান উল্লাহর মরদেহ শনাক্ত করে।
মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে মাথা, মুখমণ্ডল, হাতের আঙুল ও পায়ে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, এবং পুলিশ হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
নিখোঁজ হামীম গ্রুপের জিএমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশও আশ্বস্ত করেছে যে, তারা দ্রুততম সময়ে তদন্ত সম্পন্ন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।
এদিকে, হামীম গ্রুপের সহকর্মীরাও আহসান উল্লাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তারা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, আহসান উল্লাহ একজন সৎ ও পরিশ্রমী ব্যক্তি ছিলেন, এবং তার মৃত্যু প্রতিষ্ঠান ও সহকর্মীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। জনগণ আশা করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।