প্রথম বসন্ত

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

আজ  শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি ,৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ 

Click Here

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে এক ঢিলে তিন পাখি

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে এক ঢিলে তিন পাখি

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক ঢাকা সফর বাংলাদেশের জন্য বহুমুখী সাফল্য বয়ে এনেছে। এই সফরের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একযোগে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা ‘এক ঢিলে তিন পাখি’ প্রবাদটির বাস্তব প্রতিফলন।

 দেশের স্থিতিশীলতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারের প্রতিহতকরণ

গুতেরেসের এই সফর দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা সম্পর্কে বিদেশে প্রচারিত মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করেছে। তিনি স্বচক্ষে দেশের স্থিতিশীলতা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক চিত্র উপস্থাপন করেছেন। এটি বিদেশে প্রচারিত নেতিবাচক ধারণা প্রতিহত করতে সহায়তা করবে।

 সংস্কার কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিতকরণ

মহাসচিব গুতেরেস বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই উদ্যোগগুলি দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে। তার এই সমর্থন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।

রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা

গুতেরেসের এই সফরের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করা। তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা সম্পর্কে অবগত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তার এই সফরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ পুনরায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যা সংকট সমাধানে নতুন উদ্যোগ গ্রহণে সহায়তা করবে।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে এক ঢিলে তিন পাখি । জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ঢাকা সফর বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত সাফল্য বয়ে এনেছে। এই সফরের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার প্রতিহত, সংস্কার কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত এবং রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *