চোখের জলে মাগুরার শিশুটিকে শেষ বিদায়
মাগুরার আট বছরের সেই শিশুটির করুণ বিদায়ে সমগ্র দেশ শোকে মুহ্যমান। ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা এই শিশুটির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষ সমবেত হন। ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডী সম্মিলিত ঈদগা ও গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
চোখের জলে মাগুরার শিশুটিকে শেষ বিদায়
এর আগে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মানুষের ঢল নামে, সবাই চোখের জলে বিদায় জানান এই নিষ্পাপ শিশুটিকে। জানাজায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুটির মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা। মাগুরার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসে তাদের বাড়িতে। পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। সবার একটাই দাবি—ধর্ষকের ফাঁসি চাই। শিশুটির খালা ধোলায় বেগম রোকেয়া আহাজারি করে বলেন, ‘আমাদের মনি আর নেই। আমরা মনিরে আর জীবিত দেখতে পারব না। আমরা সঠিক বিচার চাই।’
শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও শোক প্রকাশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিলও বের করা হয়।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মাগুরার এই শিশুটির করুণ পরিণতি আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় লজ্জা। তার বিদায়ে আমরা শোকাহত। এই ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি