
গাজা সংকট আবারও নতুন মোড় নিচ্ছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করছেন। তারা বলছে, ইসরায়েল এই যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় না, বরং সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে
গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ,গাজা যুদ্ধবিরতি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করছেন’ নেতানিয়াহু: হামাস

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ
হামাসের অভিযোগ কী?
হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “নেতানিয়াহু রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার জন্যই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান।” তিনি দাবি করেন, যদি ইসরায়েল চায়, তাহলে সহজেই যুদ্ধবিরতির একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তি সম্ভব। কিন্তু নেতানিয়াহু নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল। তবে ইসরায়েল কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় সেই আলোচনা ব্যর্থ হচ্ছে বলে হামাসের দাবি।
গাজায় বর্তমান পরিস্থিতি
গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
🔹 হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।
🔹 গাজার অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত।
🔹 খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে, যা একটি মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
🔹 ইসরায়েল বলছে, হামাসকে পুরোপুরি দমন না করা পর্যন্ত তারা হামলা চালিয়ে যাবে।
নেতানিয়াহুর অবস্থান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, তারা যুদ্ধবিরতির পক্ষে, তবে সেটি হতে হবে তাদের শর্তে।
🔸 হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করতে হবে।
🔸 ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
🔸 গাজা থেকে হামাসের সামরিক উপস্থিতি দূর করতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করতে চায়, তবে তারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
🟢 বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
🟢 তবে যুদ্ধবিরতির পক্ষে কাজ করছে বলে জানাচ্ছে।
🟢 কিছু মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ইসরায়েলকে অবশ্যই মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া
🌍 জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে জোর দিচ্ছে।
🌍 তুরস্ক ও ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
🌍 মিসর ও কাতার যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।
এই সংকটের ভবিষ্যৎ কী?
📌 যদি ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ কিছুটা নমনীয় হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
📌 নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।
📌 মানবিক সংকট আরো বাড়তে পারে, যা আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবে।
এই যুদ্ধ শুধু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। হামাসের দাবি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন, যা শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি। এখন দেখার বিষয়, এই সংঘাত কবে এবং কীভাবে শেষ হয়।