
কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, বেশি চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের আগে কম সংস্কার চায় তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি একটু বেশি সংস্কার চায় তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রাক্তন দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম ও ড্যানিলোভিচের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে সংস্কারের পরিমাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যদি কম সংস্কার করা হয়, তবে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো আরও সংস্কার চায়, তবে নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হতে পারে।
কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, বেশি চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন
এটি স্পষ্ট যে, নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে সংস্কারের পরিমাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যদি কম সংস্কার করা হয়, তবে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো আরও সংস্কার চায়, তবে নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই জাতির জন্য মঙ্গল হবে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি, সেজন্যই নির্বাচনের দরকার।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের আগে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে জোর দিয়ে আসছে। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অর্থবহ করার জন্য নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।
এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দলও মনে করে যে, সংস্কার শেষে তবেই নির্বাচন হওয়া উচিত। গণফোরামের নেতা ড. কামাল হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপকালে রাষ্ট্র সংস্কারের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে যে, আগামী জুনের মধ্যে দেশের সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারা মনে করে, বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। তবে, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলসমূহ এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।
সর্বোপরি, নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে সংস্কারের পরিমাণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বর, আর বেশি সংস্কার চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এটি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।