কদরের রাতে মসজিদে-মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়
পবিত্র শবে কদর, যা ‘লাইলাতুল কদর’ নামেও পরিচিত, ইসলাম ধর্মে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এই মহিমান্বিত রজনীতে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য অসীম রহমত ও ক্ষমার দরজা খুলে দেন। এই রাতের ফজিলত লাভের আশায় বিশ্বের মুসলমানরা গভীর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হন।
কদরের রাতে মসজিদে-মসজিদে মুসল্লিদের ভিড়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে শবে কদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এশার আজানের পর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। মুসল্লিরা সারারাত নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। শেষ রাতে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়, যেখানে অতীতের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করা হয়।
শবে কদরের রাতে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যার পর থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ইস্কাটন মসজিদ, বেইলি রোড, পুরান ঢাকার বিভিন্ন মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতি দেখা যায়। মুসল্লিরা দলবেঁধে মসজিদে প্রবেশ করেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, “লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।” এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব বহন করে। তাই মুসলমানরা এই রাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করেন এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত কামনা করেন।
শবে কদরের রাতে মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় প্রমাণ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ও আনুগত্য। এই রাতের ইবাদত ও দোয়ার মাধ্যমে তারা আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং পরকালীন মুক্তির আশায় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।