
এখনও ছাপা হয়নি ৩ কোটি পাঠ্যবই
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শুরুতে পাঠ্যবই বিতরণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মোট ৪০ কোটিরও বেশি বই মুদ্রণের পরিকল্পনা ছিল। তবে, বিভিন্ন কারণে এই মুদ্রণ কার্যক্রমে বিলম্ব হয়েছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

এখনও ছাপা হয়নি ৩ কোটি পাঠ্যবই
মুদ্রণ কার্যক্রমে বিলম্বের কারণসমূহ:
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব: নতুন করে টেন্ডার আহ্বান এবং পূর্বের টেন্ডার বাতিলের কারণে মুদ্রণ কার্যক্রম শুরু হতে দেরি হয়েছে। এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, এপ্রিল-মে মাসে যেখানে বই মুদ্রণের কার্যক্রম শুরু হয়, সেখানে এবার অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
কাগজ সংকট: মুদ্রণকারীরা জানান, কাগজ পাওয়ায় সংকটের কারণে বই মুদ্রণে বিলম্ব হয়েছে। এতে করে সময়মতো বই মুদ্রণ করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমান পরিস্থিতি:ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত, সাড়ে ১৫ কোটি বই এখনও মুদ্রিত হয়নি। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জিতে প্রভাব:
বই বিতরণে এই বিলম্ব শিক্ষাপঞ্জিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিক্ষাবর্ষ শুরুর চার মাস পর শিক্ষার্থীরা বই হাতে পেলে শিক্ষাপঞ্জি লন্ডভন্ড হয়ে যাবে।
বই মুদ্রণ ও বিতরণে এই বিলম্ব কাটিয়ে উঠতে এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। মুদ্রণকারীদের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি, কাগজ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সময়মতো পাঠ্যবই বিতরণ অত্যন্ত জরুরি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।