ট্রাম্পের দাবি:
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং উভয়েই সংঘাতের সমাধানে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে একটি কার্যকর সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।” তবে, সূত্রমতে, এই আলোচনাটি সরাসরি নয়; বরং মস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে পুতিনের সঙ্গে এই আলোচনা হয়েছে। পুতিন উইটকফকে মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন।
পুতিনের প্রতিক্রিয়া:
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে তিনি কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সমাধানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। পুতিনের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া:
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার দাবি ট্রাম্পের।ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের কারণে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতিতে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, রাশিয়া ইউক্রেনের কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
হোয়াইট হাউস এবং ক্রেমলিন উভয়ই এই আলোচনায় সতর্ক আশাবাদ প্রকাশ করেছে। পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই বিষয়ে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার দাবি ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে এই আলোচনাগুলো ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তবে, বাস্তবায়নের পথে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।