আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ নামলো ২০ বিলিয়নের নিচে
রিজার্ভের বর্তমান পরিস্থিতি:
আকুর বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফ-এর বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯.৭০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, মোট (গ্রস) রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
আকু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে থাকে।
রিজার্ভ হ্রাসের প্রভাব:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসা দেশের অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি: রিজার্ভ কমে গেলে আমদানি ব্যয় মেটানো কঠিন হতে পারে, যা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে।
মুদ্রার মানের উপর প্রভাব: রিজার্ভ হ্রাসের ফলে টাকার মান কমে যেতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে।
বিনিয়োগে প্রভাব: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্দিহান হতে পারেন, যা বিনিয়োগ প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্ভাব্য সমাধান:
রিজার্ভের এই হ্রাস রোধ করতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
রপ্তানি বৃদ্ধি: রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বৃদ্ধি করা।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি: প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠাতে আরও সুবিধা প্রদান করা।
অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ: অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমানো।
আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি সতর্ক সংকেত। এটি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি, যাতে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।